করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য তথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব ঠেকাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রিত প্রত্যেক জায়গায় নিয়মিত বিষয়গুলো মনিটরিং করচ্ছে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন। ভার্চুয়াল জগতে গুজব প্রতিরোধে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
র্যাব সদর দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ দিনে করোনা সম্পর্কিত গুজব ছড়ানোর ঘটনায় দেশজুড়ে সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ৮টি মোবাইল ফোন, ৯টি সিমকার্ড, গুজবের ৯১টি স্ক্রিনশট, সরকার ও রষ্ট্রবিরোধী ৫টি ফেসবুক পোস্টের কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
গুজব প্রতিরোধ ও গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের পদক্ষেপ সম্পর্কে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বলেন, র্যাব নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি করোনার দুর্যোগেও নানা ধরণের কাজ করছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশজুড়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে র্যাব।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে বেশ কিছু মিথ্যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করার মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে। গুজব ঠেকাতে র্যাবের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের নিজস্ব সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ২০ দিনে করোনা সংক্রান্ত গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ভার্চুয়াল জগতে গুজবের মতো কোনো ধরনের অপতৎপরতা দেখা গেলে দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানান তিনি।